মূল চিঠি:
প্রিয় অরণ্য,
তুমি তো জানো আমার দাদার বাড়ি নওগাঁ জেলার রাণী নগর উপজেলার রঞ্জনীয়া গ্রামে আর নানা বাড়ি নওগাঁ জেলার কাছের আলেদাদপুর গ্রামে। কর্ম সূত্রে আব্বু রাজশাহী, গাইবান্ধা, পাবনা, বগুড়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে চাকরি করেছেন আর আমরা তার সাথে শহরেই থাকতাম।
দাদা বেঁচে থাকতে শৈশবে শহরের বাসা থেকে বছরে একাধিক বার দাদা বাড়ি যেতাম । নানা বাড়ি কম গেলেও যেতাম, তবে সেখানে থাকা হতো কম। গ্রামের মাটির বাড়ি, পুকুর ঘাট, গ্রামের আত্মীয় পরিজন, ধানক্ষেত, আল পেড়িয়ে অন্য গ্রাম অদ্ভুত আকর্ষণ করতো। ছিল উনুনে বিশাল হাঁড়িতে ডেকচি ভরে রান্না, পাড়ার মহিলারা গোল হয়ে রান্নার কাজ করছে, কেউ শামুক কেটে হাসকে খাবার দিচ্ছে, খলাতে ধানের মধ্যে পা দিয়ে নানা নকশার বিলি কেটে ধান উল্টায়ে দিচ্ছে, পাশে বাচ্চাকাচ্চার দল পাথর গুটি দিয়ে ছড়া কেটে খেলছে, আরও কত কি! সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না, কিন্তু সেই স্মৃতি মনে থাকবে।
রঞ্জনীয়া যাওয়ার কয়দিন আগে থেকে কি যে একটা আনন্দ হতো, তা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। লেখাপড়া থেকে মন শুধু ঘুরে বেড়াতো বাড়ির খলার মাঠে, ধানের ক্ষেতে, পুকুরে, আলে। গ্রামে গিয়ে শান্ত মেয়েটি গাঁয়ের চাচাতো, ফুপাতো ভাই বোনের সাথে হয়ে যেতাম দূরন্ত! সময়ের রুটিন ভেঙ্গে দিনভর ঘুরে বেড়ানো, সকালে কাঠাতে মুড়ি আর সদা ( সদা হলো হাট থেকে কেনা মিষ্টি মন্ডা, বিস্কিট, গজা, গুড় বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবার) নিয়ে রোদে বসে খাওয়া আর গল্প জুড়ে দেয়া, বেলা বাড়ার সাথে পুকুর পাড়ে মাটির বাড়ি তৈরি করে একেকজন একেক কাহিনী গল্প বলে যাওয়া, দুপুরের আগে ক্ষেতের পাশে ঘুরে পুকুরের এঁটেল মাটি দিয়ে শখের হাঁড়ি পাতিল, আম, জাম, কলা, পুতুল তৈরি করে শুকাতে দেয়া। তারপর পুকুরে ঝাঁপিয়ে গোসল করা, চোখ লাল হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। বর্ষার পর গেলে দেখতে পেতাম গ্রামের ছেলেপেলে, এমনকি বড়রাও এক জমি থেকে অন্য জমিতে সেঁচে মাছ ধরছে, অবাক হয়ে দেখাও আমার কাজের মধ্যে পরতো। আমি মাঝে মাঝে নেমে সাদা রঙের প্লেট দিয়ে পানি সেঁচতাম ওদের সাথে, দারুণ মজা লাগতো তখন। পুকুর পাড়ে তাল কুড়ানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা আর কুড়িয়ে পাওয়া সেই তাল হাতে নেয়ার সে অদ্ভুত আকর্ষণ ! এখন বাজার থেকে কিনে আনা তাল হাতে নিলে সেই আনন্দটা বুঝিনা। একেবারে অন্য রকম বাঁধ ভাঙ্গা দিন। তোমরা চিন্তাও করতে পারবেনা তোমার আম্মু ছোটবেলায় এমন করেছে কখনো।
দাদাদের বাড়ির সামনে গ্রামের মাঝখানে ছিল বিশাল পুকুর। আর পুকুরের চারপাশ ঘিরে এই শরীক, ঐ শরীকের ধানের খলা ছিল, খড়ের পালা, গরুর গোয়াল, বাড়ির বৈঠক খানা ছিল।
দাদার বাড়ি বরাবর ছিল বিশাল তিনটা জোড়া লাগায়া তেতুল গাছ যা তেতুল তলা নামে পরিচিত ছিল। এই তেতুল গাছ ছিল বিশাল উঁচু, প্রাচীন আমলের গাছ। এটার গুঁড়ি ছিল ছোট বাচ্চাদের সমান। আমরা এর উপরে একেকটা শিকড়কে একেকটা ট্রেনের বগি বানিয়ে ট্রেন ট্রেন খেলতাম। এখানে সারা বছর মহিষ বাঁধা থাকতো। তার সামনে ডান দিকে আরেকটা ছোট পুকুর। পুকুরের ডান পাশে পারিবারিক কবরস্থান যেখানে আমার দাদার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে আছেন। এর উপরে বিশাল বিশাল গাছে ঘেরা ছিল পুরো এলাকা। এই পাশটাতে যেতে পারতাম না, ভীষণ ভয় লাগতো আর এখানে গাছ আর গাছ ছাড়া কিছু ছিল না। আমি ভয়ে ঐমুখো হতাম না কখনো। আমার ছোট বোন শিমলীর কবরও আছে এখানে। এখন কবরস্থানে বড় গাছ নেই ছোট ছোট গাছ দিয়ে জঙ্গলের মতো হয়ে আছে।
তার সামনে ছিল ধানি জমি আর সবার মাথার সামনে বড় পুকুরটা যা আমি বড় সড়ক থেকে দেখতে পেতাম। এই ছিল আগের গ্রামের সাধারণ চিত্র।
দাদার বাড়ির মূল প্রবেশ দাঁড় সড়কের বিপরীত দিকে। আর বাড়ির সামনে একটা বিশাল পুকুর ছিল যা কিনা এখন ভরাট হয়ে গেছে। এই অংশে এখন আছে শুকনো খড়ের পালা আর ধান শুকানোর খলা করা হয়েছে। আর দাদার বাড়ির আগে যে বাইরের উঠান অর্থাৎ খলা যেখানে ধান শুকানো হতো তার প্রায় পুরো চিত্রটাই বদলে গেছে।
দাদার খলার মাঝ বরাবর আমার আব্বুর বাড়ি হয়েছে, মাটির দোতলা বাড়ি। এই বাড়ির বয়স ত্রিশ বছরের বেশিই হবে । তবে এখনও মোটামুটি ভালো আছে, কারণ এখানে একটি পরিবার বসবাস করে। পুরু মাটির দেয়ালের এই বাড়িটির ভিতরে অনেক শান্তি শান্তি ভাব। আপন নীড়ের গন্ধ খুঁজে পাই। শিকড়ের একটা অস্তিত্ব এখানে জুড়ে দেয়া আছে তা বুঝতে পারি। ঘরের ভিতরে গরমের সময় ঠান্ডা ঠান্ডা আর ঠান্ডার সময় গরম থাকে। পুরো বারান্দাটাও দেয়াল দিয়ে বেষ্টন করা। বাইরে শুধু কল পাড়, বাথরুম। ভিতরে চারটা বড় বড় ঘর। বাড়ির ছাদ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে তাল গাছ চিড়ে তার তীর, বাঁশ, মাটি আর খড় মিশ্রিত করে তৈরি করে লেয়ারে লেয়ারে সাজানো মজবুত ভীত। যত্ন করে ব্যবহার করলে আরও বহু বছর টিকে থাকবে। ছাদের কিনারে দেয়ালে হালকা নকশা করা মাটি দিয়ে, কাঁচা শিল্পীর হাতের কাজ হলেও রয়েছে অন্য রকম নান্দনিকতার পরশ। ফুল, লতা, পাতা দিয়ে নকশা করা। এই নকশা করা হয়েছিল দাদীর ঘরের নকশার অনুকরণে। দাদীর ঘরের নকশায় সাদা, নীল, সবুজের কম্বিনেশন ছিল মনে হয়। আমার ভুলও হতে পারে। আব্বু এই বাড়ি তৈরি করার সময় মায়ের ঘরের আদলটা মাথায় রেখে তৈরি করেছিলেন মনে হয়। তাই দরজাতেও খানিকটা দাদীর ঘরের মতো ফুল পাতা দিয়ে নকশা করা আছে দেখলাম। এখন আর দক্ষ নকশাকার নাই, যারা দেয়ালে বা দরজা – জানালায় নিঁখুত ডিজাইন করবে। আর করলেও সেখানে শহরের বাড়ির মতো নকশা দেখতে পাই, আদি রূপ রস গন্ধ পাওয়া যায় না।
আমার দাদা বাড়ি ছিল ইউ প্যাটার্নের। বাড়ির ভিতরের অংশে মাঝে ছিল দাদীর ঘর, যা আমাদের সবার প্রিয় ছিল। দরজায় নকশা আঁকা, সবুজ রঙের ছোঁয়া, ফুলের মাঝে মনে হয় লাল রঙের আভা ছিল। তাল গাছের তীর দিয়ে যে ছাদ তৈরি করা ছিল সেটাও ছিল অন্য ঘর গুলো থেকে সবচেয়ে উন্নত ধরনের। তার নিচেই দারুণ নকশা আঁকা, জমিদার বাড়ির মতো নকশা ছিল। শুনেছিলাম দাদীর বাবা নাকি অনেক দূর থেকে কারিগর এনে নকশা করিয়েছিলেন এই ঘরের। রঞ্জনীয়া গ্রামের সরদার বাড়ির (বড় বাড়ি বলে ডাকতো সবাই) বড় বউয়ের ঘর বলে কথা! ভিতরে মাটির তৈরি নকশা গুলো ছিল তখনকার জমিদার বাড়ির অনুকরণে তৈরি। তাই নিঁখুত হাতের কাজ। এখন যেমন আধুনিক বাড়িতে দেয়ালের সাথে আসবাব সব সেট করা থাকে, দাদীর ঘরেও তেমন ছিল। চারপাশে নকশা করা দেয়াল তাক যেখানে জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা থাকতো, দাদার একটা লোহার সিন্দুক রাখা ছিল এইখানে। দাদা কলকাতা গিয়ে সোনার ব্যবসা করতেন তখন। সান্তাহার জংশন থেকে রেলগাড়ীতে যাওয়া যেতো তখন। ঘরের একেবারে পূর্ব পাশে ছিল সিঁড়ি। মাঝখানে একটা জানালা ছিল। আমরা চাচাতো ফুপাতো বোনেরা এই সিঁড়ি আর জানালায় বসে পিছনের বাঁশঝাড় দেখতাম, গল্প করতাম এখানে বসে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলে ছিল বিশাল ঘর উপরে। এক দিক দিয়ে উঠলে পুরো বাড়ির চারদিক ঘুরে আসা যেতো। মেহমান বা বিয়ের আয়োজন থাকলে উপরে থাকা হতো। তা না হলে উপরটা বেশি ফাঁকা থাকতো আর ধানের সময় ধান ও অন্যান্য আনাজপাতি স্টোর করে রাখা হতো। আমরা বিভিন্ন মাটির মটকা থেকে এটা ওটা নিয়ে খেতাম। বিশেষ করে তেঁতুল নিয়ে শেষ করে ফেলতাম! দাদা মারা যাওয়ার পর যখনই বাড়ি যেতাম সব পিচ্চিরা দাদীর ঘরে শুতাম আর গল্পে গল্পে দারুণ সময় কাটাতাম।
দাদীর ঘর থেকে বের হলে ছিল বড় বারান্দা, অনেকটা প্যাসেজের মতো যার দুই দিকে আবার ঘর। ছেলেরা, মেয়েরা আসলে এখানে থাকতো। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় মাটির নকশা করা গর্ত থাকতো যেখানে সন্ধ্যা হওয়ার আগে হারিকেন, বাতি জ্বালিয়ে রাখা হতো ঘর আলোকিত করতে।
মাটির বাড়ির মতো মানুষ গুলো মায়ায় জড়ানো, স্মৃতিতে উজ্জ্বল। তোমাদের জন্য সেই স্মৃতির ঝলক তুলে ধরলাম। সময় বয়ে যাবে তার নিজস্ব গতিতে। বদলে যাবে মানচিত্র, বাড়িঘর, গ্রাম, মানুষ। এক সময় হবে ইতিহাস, ঐতিহ্য। যে জাতি পুরনো ইতিহাস, ঐতিহ্য ধরে রাখতে যত পারে, সেটাকে সম্মান করে সেই জাতি তত সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত হয়। পুরনোকে পরিত্যাগ করে নয়, পুরনোর উপরে সম্মান, ভালবাসায় জড়িয়ে নতুন করে আধুনিকতা দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে।
ভালবাসায় হেরা, সারাহ, অরণ্যের আম্মু
কানিজ ফাতেমা
English version | Translated by Noshin Tuba
Dear Aranya,
As you already know, my paternal grandfather’s house is in Ranjaniya village of Rani Nagar upazila of Naogaon district, and my maternal grandfather’s house is in Aledadpur village near Naogaon district. My father worked in various cities, including Rajshahi, Gaibandha, Pabna, Bogra, and Dhaka, and we used to live in those cities with him.
When my dada (paternal grandfather) was alive, I used to visit him several times a year. I used to go to nana’s (my maternal grandfather) house sometimes, but I also spent less time there. Village mud house, pond ghat (paved stairway), village relatives, paddy field, village over fields – there was this sorcery that used to enchant me. People used to be cooking in huge dekchis (large pots), neighborhood women were working in circles, someone was cutting snails and feeding the ducks, and someone was drying paddy in the front yard with their feet making dancing patterns while turning the rice upside down. Those days will never return, but the memories will live on.
It’s impossible to put into words how happy I was a few days before going to Ranjaniya. My thoughts only wandered in the front yard of the house, the paddy field, the pond, and the narrow walkway through the fields; I couldn’t focus on the reading table at all. This quiet girl would be restless in the village with her uncles, cousins, brothers and sisters! Breaking the routine, wandering around in the morning, sitting under the winter sun with muri and sada (kind of sweetmeat bought from the market made with biscuits, gaja, molasses, or sugar) and filling the air with the resonance of our words, building mud houses by the pond in the afternoon, telling each other stories, going around the fields before noon and making ‘hobby pots’ with clay from the pond, making mangoes, berries, bananas, dolls and letting them dry. Then jumping into the pond and bathe until our eyes turn red. I used to see village boys and even elders fishing from one land to another after the monsoon. I used to go down and sprinkle water on them with a white plate; it was a lot of fun. The strange allure of waiting for hours to collect palm from the pond bank and picking them up! I never felt the same joy holding a palm in my hands bought from the market. You can’t even imagine your mom ever did these as a child.
In front of my father’s house was a large pond in the middle of the village. And there were properties of this and that partner all around the pond; paddy fields, hay fields, cowsheds, and the meeting room.
There were three massive tamarind trees known as ‘tetul-tala’ that ran alongside my father’s house. These tamarind trees were tall, ancient ones. We used to play train by making each root into a play-train compartment on top of it . Buffaloes were used to be tied up in here throughout the year. Another small pond was to the right of it. The family cemetery on the right side of the pond is where my grandfather’s family members rest. The entire area was surrounded by massive trees above it. I couldn’t go to this side because it was too scary, and there were only trees. I’d never go there out of fear. My younger sister Shimli’s grave is also here. The cemetery now resembles a forest with small trees rather than a cemetery with large trees.
In front of this was the paddy field and in front of everyone’s head was the big pond which I could see from the main road. This was the general picture of the earlier village.
The main entrance of the grandfather’s house is on the opposite side of the road. There was also a large pond in front of the house, which is now filled up. Dry straw and paddy drying ditches have been installed in this place. And almost the entire image of the outer yard has changed, where paddy was dried in front of grandfather’s house.
My father’s house is a two-story mud house in the middle of Dada’s front yard. This house will be over thirty years old. But it’s still pretty well maintained, because a family lives here. Inside this house with thick mud walls, there is a lot of peace and tranquility. I always smell my own nest in this house. I sense the presence of roots in here. The indoor remains cold in hot weather and hot in cold weather. The entire balcony is surrounded by walls. Only the faucet and the bathroom are visible from the outside. There are four large rooms on the inside. Palm trees were used to make layer upon layer of strong battens for the house’s roof by combining its branches, bamboo, earth, and straw. If used properly, it will last for many more years. Some novice artist’s handiwork makes a different aesthetic dimension with lightly patterned soil on the walls at the edge of the roof. Design with flowers, vines, leaves. The design was modeled after the design of the grandmother’s house. Grandmother’s room design appears to be decorated in white, blue, and green combination. I could be wrong. It seems that my father built this house keeping the essence of his mother’s place in mind. So I saw that the door is also designed with flowers and leaves a little like grandmother’s house. There are no skilled designers available today who can recreate perfect designs for walls, doors, and windows like this. Even if you find, you can see the design of the city house patterns, the original essence can hardly be found.
My grandfather’s house was designed in the U shape. The grandmother’s room, in the center of the house, was a favorite of all of us. There were designs painted on the door, touches of green, and flowers with a red tint. The roof, made of palm tree branches, was also the most advanced of the houses. It was a richly designed, zamindar house-like design beneath it. My granny’s father reportedly brought in artisans from afar to design this room. Room of Sardar Bari’s (they used to call it ‘boro bari’ back then) eldest bride it is! The interior clay designs were inspired by zamindar houses of the time. So finely crafted. Grandma’s room was set up against the walls in the same way that furniture is in modern homes. Grandfather kept an iron chest here, around the designed wall shelves where things were arranged. Dada traveled to Calcutta to conduct gold trading. It was then possible to travel over there by train from Santahar Junction. The stairs were on the room’s eastern side. In the center, there was a window. We, cousins and sisters, used to sit on these stairs and windows and look out the windows at the bamboo trees behind us, talking. A massive house awaited you at the top of the stairs. You can go around the entire house if you start from one side. we stayed upstairs if there were guests or weddings. Otherwise it would have been empty and paddy and other crops would have been stored during the rice season. We used to eat this and that from various clay matkas (pots). I would mostly finish all the tamarind from there! After grandfather died, whenever I went home, all the kids would sleep in grandmother’s room and have a great time telling stories.
There was a large verandah outside the grandmother’s house, like a passage, with houses on either side. My father and his siblings lived here. There were holes carved in the earth throughout the house where lamps were lit before nightfall to illuminate the house.
People, like mud houses, are surrounded by magic, bright in memory. I’ve shown you a glimpse of that memory. Time moves at its own pace. House plans, houses, villages, and people will all evolve. Tradition will be history one day. The nation that respects its old history and tradition, holds the more respectable place. Not by abandoning the old, but by respecting and loving the old, it should be tied with new modernity.
Love,
Hera, Sarah, Aranya’s mother,
Kaniz Fatema
হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম। হারিয়ে যাচ্ছে মাটি ও মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের শেকড়। গ্রামের বাড়ি আজ যেন এক নস্টালজিয়া। শুধু বেঁচে আছে আমাদের স্মৃতিতে। কি রেখে যাচ্ছি আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের উদ্দেশ্যে? সেই শিকড়ের খোঁজে আমরা খোলা চিঠির আহ্বান জানিয়েছিলাম।
আপনি যদি অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা করে থাকেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিঠিটি প্রেরণ করুন।
বিস্তারিতঃ http://localhost/context/events/event/basatbari/
ইমেইল: boshotbari.context@gmail.com; context.editor4@gmail.com
Disclaimer:
CONTEXT (www.contextbd.com) and their collaborators jointly hold the copyrights of all contents including, but not limited to, all text, information, illustrations, images. You may not duplicate or reproduce any of the content on this website, including files downloadable from this website