বসতবাড়ি | চিঠি ২৫ | সরদার বাড়ি

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নওগাঁ জেলা ভৌগোলিকভাবে বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির অংশ। বৃষ্টিপাত এ অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে স্বল্প। গ্রীষ্মে অত্যধিক তাপমাত্রা এবং শীতে অত্যধিক ঠান্ডাই হচ্ছে বরেন্দ্রভূমির আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এই অঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে মাটির ঘরে বসবাস করতেন। অবস্থাসম্পন্ন মানুষ মাটির দোতালা ঘর বানাতেন। শৈশবের স্মৃতি মিশ্রিত এই

বসতবাড়ি | চিঠি ২৪ | মাঝিবাড়ি

যশোরের বেত্রাবতী নদীর ধারে প্রায় দেড়শত বছর আগে নির্মিত এই বসতবাড়ি। উঁচু মাটির ভিতের উপর বড় আকারে মাটির চৌচালা ঘর, উপরে ছনের ছাউনি, আর দুইপাশে প্রসস্থ বারান্দা। নদীর পাড়ে বিশাল বাঁশঝাড়, বাড়ির চারপাশ ঘেরা নারিকেল আর সুপারিগাছের সারি। বয়োজোষ্ঠ্যা ফরিদা বেগম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে লেখা তার এই চিঠিতে নদী পাড়ের মাঝি বাড়ির প্রাকৃতিক আর শান্ত পরিবেশের স্মৃতিচারণ করছেন। চিত্রায়ন: পারভীন আখতার

বসতবাড়ি | চিঠি ২৩ | চর বসতি

বাংলাদেশের উত্তরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র তীরের উর্বর ভূমিতে মূলত গড়ে উঠেছিল জামালপুরের আদি জনপদ। কালের বিবর্তনে, নদীর পরিবর্তিত প্রবাহে, পলি জমে জমে চাষাবাদ যোগ্য সমতল ভূমির উত্থান ও বিস্তৃতির সাথে সাথে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মিশ্রণ প্রক্রিয়ায় এই জনপদে জনবসতির বিস্তার ঘটে । স্বভাবতই ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বৃহৎ প্রবাহ এই অঞ্চলে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধারা, প্রাত্যহিক জনজীবন ও জীবিকায়, এমনকি বসতবাড়ির

বসতবাড়ি | চিঠি ২২ | দ্বীপাঞ্চলের ঘরবাড়ি

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ছোট্ট একটি দ্বীপ মৌসুনী। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে, সুন্দরবন ঘেঁষে অবস্থিত এই জনবসতি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। জীবন এখানে ধীর এবং সংগ্রামের। ঘরবাড়ি প্রধানত মাটি আর ছনের তৈরী। সাগর তীরের দ্বীপাঞ্চলের বসতবাড়ি ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা এক কৈশোর জীবনের গল্প চিত্রিত হয়েছে আজকের চিঠিতে। চিঠিটি পাঠিয়েছেন কৌশিক জানা, ভারত থেকে। চিত্রায়ন: রাফিদ রহিম,

বসতবাড়ি | চিঠি ২১ | দক্ষিণ দুয়ারী

আজকের চিঠিতে বর্ণিত বসতবাড়িটি খুলনার শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদের পাড় ঘেঁষে অবস্থিত। ষাটের দশকের শেষবর্ষে নির্মিত এই বাড়িটির আজ ভগ্ন দশা। বয়সের ভারে নুহ্য বাড়িটিতে সময়ের ছাপ সুস্পষ্ট। দেয়ালের ফাটলে বটগাছের বেড়ে উঠা, ধ্বংসপ্রায় ১৫শতকের নাট মন্দির কিংবা মরিচা পরা জানালার শিক - কালের সাক্ষ্য বহনকারী এ বাড়িটি এখন শুধু স্মৃতির পাতার অংশ হয়ে আছে। চিঠিটি পাঠিয়েছেন করবী দত্ত; চিত্রায়ন: রীশাম শাহাব

বসতবাড়ি | চিঠি ২০ | ঋতু উপাখ্যান

ঋতু চক্র ও গ্রামীণ জীবন এক সুতায় গাঁথা, যার সুস্পষ্ট প্রভাব বসতবাড়ি এবং তাকে কেন্দ্র করে দৈনন্দিন জীবনে লক্ষণীয়। যেমনটা দেখা যায় শীতকালে, যখন বাড়ি ফেরা পরিজনদের নিয়ে গ্রামীণ জনপদ পরিণত হয় এক মিলন মেলায়; আর বসতবাড়ির উঠান হয়ে উঠে পারিবারিক উৎসবের কেন্দ্রস্থল। নতুন চালের ভাপা, পুলি, পাটিসাপটাসহ হরেক রকম পিঠা আর খেজুর রসে বরণ করে নেয়া হয় পরিবারের সদসদের। বাড়ির বাগানের তাজা সবজি ও পুকুরের মাছ তো

বসতবাড়ি | চিঠি ১৯ | ছায়ানীড়ের গল্প

সময়কাল সত্তর দশক। মানিকগঞ্জের পশ্চিম দাশরা গ্রাম। শান্ত, খোলামেলা, রৌদ্রময়, ছায়াঢাকা এক বাড়ি - নাম ‘ছায়ানীড়’। ভিতর বাড়ির উঠানে ছাতার মত ছড়ানো এক পেয়ারা গাছ - যাকে ঘিরে বসতো প্রাণের আসর। বাড়ির পুবে খাল, উত্তরে বেশ বড়সড় বাঁশঝাঁড় আর জঙ্গল, আর একপাশে একটা শিমুল গাছ যা শীতের শেষে ভরে উঠতো লাল ফুলে ফুলে, ঝরা পাতায় গুঁই সাপ আর গিরগিটি চলাচলের সর সর শব্দ , আর সন্ধ্যা হতেই শেয়ালের ডাক — বসতবাড়ি

বসতবাড়ি | চিঠি ১৮ | চাঁটগাঁইয়া ‘ভিডা’ বাড়ি

আজকের চিঠিতে বর্ণিত বসতবাড়িটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় অবস্থিত। সবুজ বেষ্টিত বিস্তৃত জায়গা জুড়ে একতলা এবং দোতলা মাটির ঘর, বাড়ির আঙিনায় পুঁথি পাঠ, প্রবেশ পথে বড় পুকুর, সীমানা দাগ বরাবর ছোট খাল যা স্থানীয়ভাবে ‘গড়াই’ নামে পরিচিত — এই সবকিছু বসতবাড়িটিকে করেছে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। চিঠিটি পাঠিয়েছেন সুদীপ্ত নন্দী; চিত্রায়ন: শুভ্র দাশ, রাফিদ রহিম ও সাদ বিন মোস্তফা; অনুবাদ:

বসতবাড়ি | চিঠি ১৭ | বাপ দাদার ভিটে-বাড়ি

চলমান নগরায়নের প্রভাবে আমাদের বাপ দাদার ভিটা বাড়ি আজ রূপান্তরিত হয়েছে এক নির্বাসিত জনপদে। শহুরে প্রজন্মের কাছে তাই বসতবাড়ি শুধুই গ্রামের বাড়ি, শীতের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়া দাদা বাড়ির স্মৃতি। চিঠিতে বর্ণিত বসতবাড়িটি বরিশালের এক প্রতন্ত গ্রামে অবস্থিত। প্রমত্তা নদী, বিস্তৃত ধানক্ষেত, ও ছোট ছোট খাল আর ছায়া আচ্ছাদিত লম্বা পথ পেরিয়ে তবেই পৌঁছুতে হতো গ্রামটিতে। প্রকৃতির নির্মল বাতাস, বাড়ির সরব উঠান,

বসতবাড়ি | চিঠি ১৬ | বড় বাড়ি

উত্তর বঙ্গের অন্যতম জনপদ গাইবান্ধা জেলা বৃহত্তর প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত। এই অঞ্চলের কৃষি সভত্য অত্যন্ত প্রাচীন এবং আদি জনগোষ্ঠী পুন্ড্রজাতি বা কৃষক জাতি নামে পরিচিত ছিল। আজকের চিঠিতে লেখককের প্রাণবন্ত বর্ণনায় ফুটে উঠেছে এই অঞ্চলের গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ, বসতবাড়ির স্থানিক বিন্যাস, যৌথ পরিবার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ও মানবিক জীবনাচারণ। চিঠিটি পাঠিয়েছেন ইয়াসির আফিয়াত রাফি; চিত্রায়ন: