বসতবাড়ি | চিঠি ৩ | বাংলার গৃহস্থ বাড়ি

29 November, 2020 Total View: 48

Ancestral home of Group Captain Habibur Rahman, psc | Visualization and inking by Sheikh Rishad Ahmmad Aurnob & colouring by Suhas Nahian © CONTEXT

মূল চিঠি (সম্পাদিত):

আমার প্রিয় নাতি-নাতনী ,

তোমরা কেমন আছো? আমার শৈশব কাল কেমন ছিল জানার কোনো কৌতূহল হয় কি? যে পরিবেশে তোমরা বেড়ে উঠছো তা থেকে আমার কাল  কতই না ভিন্ন মনে হবে।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ বিষয়ে তোমরা কি কিছু জানো ? বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ যখন প্রচন্ড আকার ধারণ করে, তখন ১৯৪২ সনের ১৮ই আগস্ট ১৫ ই রবিউল আওয়াল (শবে বরাত) শুক্রবার খুব ভোরে আমার জন্ম নোয়াখালী জিলা শহরে। যুদ্ধ শেষ হবার অল্প পরে আমাদের পরিবারের আর একটি যুদ্ধ শুরু হয় যা অবশ্য প্রকৃতিগত। প্রমত্ত মেঘনা নদী যা তিনটি বিশাল নদীর সমষ্টি : গঙ্গা, ব্রম্মপুত্র ও মেঘনা, আমাদের বাড়িসহ পুরো নোয়াখালী শহরকে গ্রাস করে। তখন আমার বয়স পাঁচ বছর।  আমার বাবা আমাদের বাড়ির যা কিছু মালামাল রক্ষা করতে সক্ষম হন , তা দিয়ে মাইজদীতে আমার মামার বাড়িতে এক অংশে অস্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করেন।  উল্লেখ্য মাইজদী, যা কয়েকটি অজপাড়া গ্রামের সমষ্টি , এখন অস্থায়ী নোয়াখালী জিলা সদর। এখানে পার্শ্ববর্তী স্কুলে আমার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু।  সেই বছরেই আমরা ভারতে অভিবাসন গ্রহণকারী এক হিন্দু পরিবার থেকে বাড়ি কিনি যা মাইজদী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ও শহরের উত্তর-দক্ষিণ বিসতৃত প্রধান সড়ক সংলগ্ন।  এই বাড়িতেই আমার শৈশবকাল কাটে।

প্রধান সড়ক থেকে আমাদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়  শহরের প্রধান পানি নিষ্কাশন খালের উপর কাঠের সাঁকো দিয়ে। বিশাল প্রাঙ্গণ অতিক্রম করে বাড়ির বৈঠকখানা। এখানে আমার উকিল বাবার আইন ব্যবসার চেম্বার। তার সহকারী দুই মুহুরী, একজন মুসলমান অন্যজন হিন্দু, একদিকে থাকতেন। অপর অংশে দুইটি চৌকি ছিল। বাহিরের অতিথি ও বর্গাদার (আমাদের চরের জমি চাষ করতেন) অবস্থান  করতেন। ভেতর বাড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশের পথে একটি দোতালা টিনের ঘর। সেখানে আমাদের গৃহশিক্ষক থাকতেন যিনি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমাদের পাঁচ ভাইকে পড়াতেন।

আমাদের ভিতরের বাড়িতে ছিল তিনটি থাকার ঘর; দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর ঘর বলতাম। পূর্বে ছিল রান্নাঘর। এককোনায় ছিল জ্বালানি কাঠের ঘর, যার এক অংশে ছিল বড় কাঠের গুড়ি দিয়ে তৈরী ঢেঁকি। এর সাহায্যে আসত সিদ্ধ ধান থেকে চাউল, চিড়া, হলুদ, মরিচ গুঁড়া। শুধু মহিলারই কাজ করতেন এখানে। আরেক কোনায় ছিল গোলাঘর; শক্ত ঠুলির বেড়া, উপরে টিন এবং নিচে ইটের পিলার দিয়ে তৈরি। এর পিছনে ছিল গরুর ঘর ও ধানের খড়ের পারা যা সারা বছর গরুর খাদ্যের যোগান দিত। একটি বড় উঠানের চারিদিকে এই ঘরগুলোর অবস্থান। ঘরগুলোর মেঝে ছিল মাটির। দেয়াল শক্ত মুলি বাঁশ ও কাঠের তৈরি আর ছাদ ছিল টিনের। ব্যতিক্রম রান্নাঘরের ছাদ যা ছন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি। ঘরের বাহিরে টিনের নিচে ছিল ঝুলন্ত কবুতরের বাক্স। জ্বালানী কাঠের ঘর সংলগ্ন ছিল হাঁস-মুরগীর  ঘর।

উঠানটি ছিল আমাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। পারিবারিক যেকোনো অনুষ্ঠান এখানেই হতো। আমরা ভাইরা সুযোগ পেলে ফুটবল এন্ড বোনেরা ব্যাডমিন্টন খেলতেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে উঠানটি কর্মকোলাহলে মুখরিত থাকতো। আমাদের চরের জমিতে উৎপাদিত ১৪০-১৫০ মণ ধান বর্গাদারেরা গরুর গাড়িতে এনে এই উঠানে জমা করতো।  ধুলা-বালু, চিটা পরিষ্কার করে ওজন করা হতো এবং ধানের গোলায় রাখা হতো।  পরিবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে দেয়া হতো। তাছাড়া উঠানে সিদ্ধ ধান, চাউলের আটা, মরিচ ইত্যাদি রৌদ্রে দেয়া হতো। কাপড় শুকানোর জন্যে ছিল টানা তার।সব মিলিয়ে এটা ছিল যেন বাড়ির প্রাণকেন্দ্র।

রান্নাঘরের মাটির মেঝেতে পাটি বিছিয়ে আমরা তিনবেলা খাবার, সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার খেতাম। রান্নাঘরের বাহিরে ছিল মাটির তৈরি দুই বড় চুলা। ধান সিদ্ধ করা হতো আর শীতকালে মজার মজার পিঠা তৈরি হতো।  আমরা ভাইবোনেরা তিনদিক ঘিরে বসতাম গরম গরম পিঠা খেতে। সেকি আনন্দ ছিল।

রান্নাঘরের কাছেই ছিল একমাত্র টিউবয়েল যা থেকে আমরা বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতাম। প্রতিবেশীরা কেউ কেউ এখন থেকে তাদের খাবার পানি সংগ্রহ করতেন। রান্নাঘরের পেছনে ছিল আমাদের পুকুরটি, যা যথেষ্ট বড়  ছিল। নারিকেল ও অন্য বড় গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি দুটি ঘাট ছিল। একটির তিনদিক ঠুলির পর্দা দিয়ে ঘেরা, যা মেয়েরা ব্যবহার করতো আর একটি পুরুষদের জন্য। পুকুরে ছিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন রুই, কাতলা, কৈ , শিং , শৈল, পুটি ইত্যাদি, আর ছিল গলদা চিংড়ি, শামুক ও ঝিনুক। মুক্তা পাওয়ার আশায় আমরা কত ঝিনুক নষ্ট করেছি। আফসোস পরবর্তীতে এই তিন জাতের জলজ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

এই পুকুরে আমরা ভাইবোন সাঁতার শিখি নারিকেল জোড়া ও কলাগাছ দিয়ে, ভাবতে পারো? যখন তখন গোসল এবং সাঁতার কাটার জন্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়া, বরশী বা জাল দিয়ে মাছ ধরা কত যে মজার ব্যাপার ছিল তা কি তোমরা আধুনিক শহরবাসী কল্পনা করতে পারবে?

আমাদের দশ থেকে বারোটা হাঁস পুকুরে ভেসে বেড়াতো এবং মাঝে মাঝে ঢুব দিয়ে ছোট মাছ বা শামুক খেতো। কোনো কোনো দিন দুই/এক সাথীকে হারিয়ে বাসায় ফিরতো। ভোরে আমাদের ঘুম ভাঙতো মোরগের ডাকে আর পাখির কলকাকলিতে, আর দৌড় দিতাম হাঁস মুরগীর ঘরে ডিমের সংগ্রহে। কবুতরগুলো সবসময় বাকবাকুম করতো; এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে উড়ে বেড়াতো এবং সুযোগ বুঝে উঠানে ছড়ানো ধানের উপর নেমে পড়তো। তবে প্রায়শঃ নাদুশ-নুদুশ বাচ্চা দিতো।

হ্যাঁ, আমাদের বড় একটা সবজি বাগান ছিল। বিভিন্ন সবজি যেমন টমেটো, মূলা, লালশাক ইত্যাদি আর মাচানে শিম, লাউ হতো. আমাদের প্রায় একশো ডেসিমেল জমির অধিকাংশে ছিল ঘন বাগান অভ্যন্তরীণ বাড়ি ও পুকুরকে  ঘিরে। তাতে ছিল প্রচুর নারিকেল আর সুপারি  গাছ। আর ছিল আম, কাঁঠাল, জামরুল, বরই, পেয়ারা চালতা ইত্যাদি ফল গাছ। নিজেদের প্রয়োজনের বাহিরে নারিকেল, সুপারি বিক্রি করে দেয়া হতো। রাতে শিয়ালের রাজত্ব। বাগানে অবাধে বিচরণ করতো এবং হুক্কা হুয়া আওয়াজ তুলতো সমবেত স্বরে। সকাল সন্ধ্যায় সুযোগ পেলেই হাঁস-মুরগী ছিনতাই করতো। দিনের বেলায় থাকতো গর্ত বা জঙ্গলে, তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যেত না।

তোমরা হয়তো অবাক হবে, আমাদের প্রসাবখানা, পায়খানা আবাসিক ঘরের সংলগ্ন ছিল না। ঘর থেকে সামান্য দূরে  প্রসাবখানা যা সুপারি গাছের লম্বা লম্বা পাতা দিয়ে ঘেরা (বাইল)। আরো একটু দূরে পাকা প্লাটফর্ম ও টিনের ছাদ ও বেড়া দিয়ে পায়খানা। প্রতিদিন খুব ভোরে পৌরসভার সুইপার ময়লা ড্রামে সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে যেত। বহিঃ বাড়িতে পুরুষদের জন্যে ছিল পৃথক পায়খানা। 

বাড়ির তিনদিকে ছিল সীমানা এবং পানি নিষ্কাশনের সরু খাল।এটি বাড়ির সম্মুখের শহরের পানি নিষ্কাশনের সাথে সংযুক্ত। বর্ষা মৌসুমে আমরা ছোটরা এই সরু খালে খাঁচা দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরতে কত না আনন্দ পেতাম। শহরের প্রধান পানি নিষ্কাশন খালটি মেঘনা নদীতে পড়তো। নদীর জোয়ার ভাটা খাল দিয়ে শহর পর্যন্ত পৌঁছে যেত. ফলে নদীর প্রচুর মাছ যেমন টেংরা, বইলা, চিংড়ি ইত্যাদি ধরা পড়তো। আমরা খালের সাথে সংযোগ রেখে আমাদের জমিতে একটি খন্দক/ ডোবা বানিয়ে এসব নদীর মাছ ধরতাম। শৈশবের এইসব মজার কান্ড কি ভোলা যায়?

টিনের ছাদে বৃষ্টির ঝম ঝম আওয়াজ, ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক, ঝিঁ  ঝিঁ  পোকার একটানা সুর, আর  রাতের আঁধারে জোনাকির ঝিক মিক আলোতে যেন বাড়ির পরিবেশটি মায়াপুরীতে পরিণত হতো। 

আমাদের বাড়িটি যদিও শহরের মধ্যে এবং প্রধান শহরের পাশেই ছিল, তবুও একনজরে মনে হয় এটি যেন গ্রাম বাংলার কোন অবস্থাম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ি।  যে সর্বনাশা মেঘনা যদি পুরান নোয়াখালী ও তার আশেপাশের জমি বিলীন করে দিয়েছিল, তা দক্ষিণে অনেকদূর সরে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। আর সৃষ্টি হয়েছে বিশাল এক চর যেখানে এখন দ্রুত জনবসতি গড়ে উঠছে। মাইজদীতে স্থাপিত অস্থায়ী জেলা সদর এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। নতুন নতুন সরকারি বেসরকারি পাকা বাড়ি, রাস্তা ঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়  নিয়ে  এটি এখন আধুনিক শহর। পরিতাপ হল, নোয়াখালী জেলা সদর এখন ঐতিহাসিক গৌরবাঞ্জল নোয়াখালী শহর নয়, এটি মাইজদী  শহর।

ইতিমধ্যে আমি অংকে স্টার মার্কস নিয়ে মেট্রিক পরীক্ষা (এস.এস.সি) প্রথম বিভাগে উর্ত্তীণ হই যখন আমার বয়স ষোল বছর, এবং উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য রাজধানী ঢাকায় চলে আসি। 

আমার বাল্যকালের কাহিনী তোমাদের কেমন লেগেছে? আসলে ছোটবেলার মধুর স্মৃতি ভোলার নয়।তোমাদের ধর্য্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। সবার মঙ্গলের জন্যে আল্লাহর দরবারে আকুল প্রাথনা।

দাদাভাই/ নানাভাই

গ্রূপ ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান (অবঃ)

ডিওএইচএস মহাখালী, ঢাকা,

বাংলাদেশ।

Ancestral home of Group Captain Habibur Rahman, psc | Visualization by Sheikh Rishad Ahmmad Aurnob © CONTEXT
Ancestral home of Group Captain Habibur Rahman, psc | Visualization by Sheikh Rishad Ahmmad Aurnob © CONTEXT
Based on the original drawing provided by the sender. Labeling by: Saad Ben Mostafa © CONTEXT

English version (Edited):

My dear grandchildren,

Do you like to know my life when I was of your age about 68 years back? Maybe you will find it so different from yours.

Did you hear about World War II? I was born when it was at its height, on 28 August 1942, Friday, 15 Shaban, early morning at Noakhali town. Soon after the end of the war, our town was totally washed away by the mighty Meghna river when I was five. My father shifted our family to a temporary residence in a piece of land owned by my maternal uncle at Maijdee, a temporary district town. My primary education started here at a nearby school. Within the next four years, we moved to our new home in the town which we bought from Hindu owners who migrated to India. Most of my childhood was spent here.

Our new home was beside the main road of the town, which ran north south. Entrance to our home was through a wooden bridge over the town’s wide drainage canal. Then we walked across a big yard to reach my father’s chamber he used for his law practice. Soon after finishing his BA, LLB, from Calcutta, my father started practicing law around 1926 in the old town. His assistant used to live on one side of the chamber. Two wooden beds were placed on the other side for visitors including “bargadar” (tillers of our char land). We five brothers and friends used to play Badminton on the front yard.

Walking past the chamber and before entering our inner home, there was a hut where our house tutor lived. He used to teach our five brothers every morning and evening. Our inner home consisted of three houses, south, west, north, a kitchen in the east, a paddy silo, a hut for firewood around a large yard. All houses had earthen floor, tin roof and wall made of wood and bamboo. The sound of raindrops on tin roof would produce a kind of music that would send us all youngsters to sound sleep. The kitchen, however, had its roof made of straw and bamboo. Silo and firewood hut were placed over brick pillars and bamboo platform respectively. The living houses had ceilings that served to store blankets, quilts, coconuts and chewing nuts. Behind the silo was our cowshed and straw column which fed the cows round the year.

We siblings, two sisters (till they were married off) and five brothers, used to live with our parents in these three houses. Our four elder sisters were living with their husbands. We used to have our daily meals breakfast, lunch, and supper on the mat spread over the kitchen floor.

The wide circular yard was the main attraction of our home. All our family members and close relatives used to gather there at family events. We brothers played football while sisters played badminton there. December each year was full of activities. 140 – 150 mounds of paddy arrived at home from our char land by cow cart. These would be piled on the yard, screened, and weighed before storing in the silo. Paddy excess to our annual need would be sold out. Yard had other uses too like drying boiled paddy, pepper, etc. Do you know how rice is produced from paddy? The modern machine will do the boiling, drying and finally processing of paddy into rice, but in our childhood, we saw a “Dheki” a heavy wooden device operated mostly by women folks to produce rice, chira, pepper powder, etc. It was placed in the shed for firewood.

Outside the kitchen were two big earthen ovens to boil paddy to get rice. In winter, we siblings used to sit around the ovens to take a share of “Pitha” prepared there. Close to kitchen we had a tube-well which supplied us pure drinking water. Behind the kitchen was our big pond with “ghats” (series of stairs ) , one with screen on three sides for ladies, other one for male members. “Ghats” were made of trunks of coconut and other big trees. You may wonder, but we siblings learned swimming in this pond. Having bath, swimming and fishing with net and rod were our favourite pastime. The pond had plenty of fish like “Katla”, “Rui ” , “Shail ” , “Koi ” , “Puti ” etc.  which were very popular. Lobster, oyster, snail which were in abundance vanished later on. That is not all. We also had a large kitchen garden that produced fresh vegetables like cauliflower, cabbage, carrot, ladies finger, gourd, chillies etc. We had a mini poultry farm of chicken and ducks. Every morning we siblings would run to collect eggs. The ducks 10 – 12 numbers would swim in our pond and frequently dipped to get fry or snail. Sometimes they would venture to neighbouring ponds to exploit the new area, but would return with one or two of them missing. 8 – 10 pairs of pigeons housed in wooden boxes under tin roof would, however, never venture outside. They would give us cute chicks at regular intervals.

You may be surprised to know that toilets were not attached to living houses, unlike modern houses in towns or villages. The urinal was setup with screens of long leaves of chewing nut trees and the toilet was made of R.C platform and corrugated tin sheets. Municipality sweepers used to collect the soils daily at dawn. We had another toilet outside the inner home for male members and visitors.

 A larger part of our land of about 180 decimals was forest-like garden thick with trees of coconuts, chewing nuts, mangoes, jackfruit, jujube, guava, and other tropical fruits. You may call our home a Garden house/ Villa at a glance. Jackals roamed freely in the night and yelled in chorus “hukka hua”. They snatched chickens or ducks whenever they got the chance, but in daytime, they hid in holes or bushes.

A narrow canal on three sides of our home marked its boundary and also provided drainage of surface water. During monsoon, we really enjoyed catching fry there. As said, in front of our home was the town’s main drainage canal ultimately falling into the Meghna river. Its tide and wave would reach us through the canal and bring plenty of delicious fish like “Bila”, “Tangra”, “Chingri” etc. We dug a small pond alongside the canal to trap these. How joyous it was to catch these marine fish!

Though our home was within the town and beside its main road, it resembled a typical village home of a solvent Bengali family. The mighty Meghna river that once engulfed the old district town and vast surrounding area moved south and merged with the Bay of Bengal creating in the process a vast new land. New settlement of people followed. Temporary District Headquarters at Maijdee turned permanent. But alas, it lost its glorious name “Noakhali”.

Meanwhile, I finished my Matric exam (SSC) in 1st division with distinction in Math from Noakhali  Zilla School when I was 16, and moved to Dhaka, now our capital for pursuing higher studies.

How do you like the story of my childhood? One can never forget the fond memories of one’s childhood as the real struggle of life is yet to begin. Thank you for your patience and pray to almighty Allah for His blessings for all of us.   

Dada Bhai / Nana Bhai

Group Captain Habibur Rahman, psc

DOHS Mohakhali, Dhaka,

Bangladesh.


হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম। হারিয়ে যাচ্ছে মাটি ও মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের শেকড়। গ্রামের বাড়ি আজ যেন এক নস্টালজিয়া। শুধু বেঁচে আছে আমাদের স্মৃতিতে। কি রেখে যাচ্ছি আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের উদ্দেশ্যে? সেই শিকড়ের খোঁজে আমরা খোলা চিঠির আহ্বান জানিয়েছিলাম।

আপনি যদি অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা করে থাকেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিঠিটি প্রেরণ করুন।

বিস্তারিতঃ http://localhost/context/events/event/basatbari/

ইমেইল: boshotbari.context@gmail.com; context.editor4@gmail.com


Disclaimer:

CONTEXT (www.contextbd.com) and their collaborators jointly hold the copyrights of all contents including, but not limited to, all text, information, illustrations, images. You may not duplicate or reproduce any of the content on this website, including files downloadable from this website.

PEOPLE ALSO VIEW