চলমান নগরায়নের প্রভাবে আমাদের বাপ দাদার ভিটা বাড়ি আজ রূপান্তরিত হয়েছে এক নির্বাসিত জনপদে। শহুরে প্রজন্মের কাছে তাই বসতবাড়ি শুধুই গ্রামের বাড়ি, শীতের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়া দাদা বাড়ির স্মৃতি। চিঠিতে বর্ণিত বসতবাড়িটি বরিশালের এক প্রতন্ত গ্রামে অবস্থিত। প্রমত্তা নদী, বিস্তৃত ধানক্ষেত, ও ছোট ছোট খাল আর ছায়া আচ্ছাদিত লম্বা পথ পেরিয়ে তবেই পৌঁছুতে হতো গ্রামটিতে। প্রকৃতির নির্মল বাতাস, বাড়ির সরব উঠান, সবজির মাচা, বাড়ির পেছনের ছোট পুকুর এবং ফলের বাগান; কিংবা গ্রামময় ছুটে বেড়ানো, পুকুরে হাবুডুবু খাওয়া, গা ছমছমে রাতের আঁধারে বাজার থেকে বাড়ি ফেরা — এই বিচ্ছিন্ন কিছু রোমাঞ্চকর স্মৃতির মাঝে, আমরা দক্ষিণবঙ্গীয় জনপদের এক পরিপূণ আবহ পাই। চিঠিটি পাঠিয়েছেন মোঃ তৌকির হোসেন; চিত্রায়ন: ইমরান হাসান, স্নেহলতা চাকমা, ফাতিমা নুজহাত কাদেরী, মাজহারুল ইসলাম শাওন ও সাদ বিন মোস্তফা; অনুবাদ: ইসমত হোসেন।