Set in the hilly landscape of Sylhet Agricultural University this monument truly represents our emotion and obsession for mother language-Bengali.
|From the architect- Shahid Minar at Sylhet Agricultural University|
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মিত শহীদ মিনার ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’ সৃষ্টির স্থাপত্য ভাবনা
শহীদ মিনারটি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেইকের পাড়ে ছোট্ট টিলার উপরে নির্মিত।প্রায় বিশ ফুট উঁচু টিলা। এই টিলার উপর নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পেরুলোই চোখে পড়বে নির্মিত এই শহীদ মিনারটির চুড়ো।
লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাস শহীদ মিনারটির নকশা প্রণয়ন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বার অতিক্রম করলেই দূর থেকে টিলার উপরস্থিত শহীদ মিনারটি চোখে পড়ে। টিলার পাদদেশে পৌঁছালে মিনারের শিরভাগ দর্শনার্থীকে আকর্ষন করবে এবং সেখান থেকেই সিঁড়িপথের যাত্রা শুরু। অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে ক্রমশ এগোলে মিনারটি পূর্নাবয়ব পেতে শুরু করবে। মূল চত্বরে উঠে গেলে দেখা যাবে সম্মুখে অনেকগুলো খাড়া সরু দেয়াল ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে আকাশমুখী হয়ে বিভিন্ন উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে এবং দেয়ালগুলোর মধ্যকার অল্প-সল্প ফাঁকটুকু আমাদের মাতৃভাষার বর্নমালায় ভরে আছে। বর্ণমালায় কোন বর্ণ বড়, কোন বর্ণ ছোট। দেখে মনে হবে শিরদাঁড়া টান করে দাঁড়ানো উর্ধ্বমুখী দেয়ালগুলো যেন প্রতিবাদমুখর। আর তারা যুথবদ্ধ হয়েছে বর্ণমালার একতার ঐকতানে।
মিনারটি উত্তর পশ্চিমমুখী আর বর্গাকৃতি চত্বরের উত্তর দক্ষিণে পাঁচ ফুট উচ্চতার পাঁচিলে বর্ণমালা খচিত রয়েছে। চত্বরে দাঁড়ালে মনে হবে চারদিকে বর্ণমালার ব্যঞ্জনা, যেন ‘ক-খ-গ-ঘ-র’ উঠানে দাঁড়িয়ে আছি। যেদিকে চোখ পড়বে হয় বর্ণমালা, নয়তো আকাশ।এই শহীদ মিনারটি উত্তর পশ্চিমমুখী হওয়ায় প্রতি প্রভাতেই এর পশ্চাৎপটে রক্তিম সূর্যের আবির্ভাব হবে এবং দিনের বয়স বাড়তে থাকলে সূর্য মধ্যগগণ পেরিয়ে পশ্চিমে ঢলে পড়বে। সকালে সূর্যালোকে মিনারটি ছায়াচ্ছন্ন অস্পষ্ট এবং সূর্যের দিন পরিক্রমায় ক্রমশ সে আলোকিত ও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মনে হবে আপনি বর্ণমালার বাগানে আছেন। বর্ণমালা ছাড়া মাথায় আর কিছু থাকবে না। অর্থাৎ বাংলা ভাষার যত প্রতীক আছে তা কিছু সময়ের জন্য আপনার আশপাশে ঘুরে বেড়াবে। আমাদের হাজার বছরের বাংলা ভাষার সাথে প্রাচীনতম সূর্যের এক অনির্বচনীয় কথোপকথন চলবে প্রতিদিন। তাই এই মিনারের শিরোনাম ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’।